জাহিদ হাসান,বান্দরবান প্রতিনিধিঃ
লামায় সৎ মায়ের ষড়যন্ত্রের বলি জাফর আলমের পরিবার। সৎ মা কর্তৃক একের পর এক মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার পায়তারা করছে জাফর আলম ও তার ভাইদেরকে। লামা উপজেলা রুপসিপাড়াপাড়া ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা আব্দরব ফকিরের ৩য় স্ত্রী ফাতেমা বেগম। ২০১৬ সালে স্বামী আব্দরব ফকিরের মৃত্যুর পর সতীনের সন্তানদের আশ্রয়ে থাকেন ফাতেমা বেগম। স্থানীয়রা জানায় আব্দরব ফকিরের প্রথম স্ত্রীর সংসারে চার ছেলে রয়েছে। মৃত্যুর পর থেকে তারায়ই ফাতেমা বেগমকে দেখভাল করতে থাকেন। স্বামী মৃত্যুর পর ফাতেমা বেগম পুরাতন ভিটায় বসবাস করে আসছে। বিগত ২০১৭ সাল থেকে সতীনের সন্তানদের সাথে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি হয়ে নিজের ঘর আগুনে পুড়িয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। এভাবে পরপর দুইটি ষড়যন্ত্র মূলক ঘটনা সাজিয়ে আদালতে মামলা করেছিলো ফাতেমা বেগম। পরে মিথ্যা ঘটনা প্রমানিত হওয়ায় সে সমাজে তিরিস্কৃত হয়। কয়েক বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিকঠাকভাবে বজায় রয়েছে। এর আগে স্থানীয় সিদ্ধান্তমতে ফাতেমা বেগম যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন স্বামীর ২০ শতাংশ সম্পত্তি ঘর ভিটাসহ ভোগ দখলে থাকবে, তবে বিক্রি হস্তান্তর করতে পারবে না। কিন্তু প্রতিবেশি কাউছার নামের এক ব্যক্তি হঠাৎ করে ৩১ ডিসেম্বর মৃত আব্দরব ফকিরের সন্তান জাফর আলমের ভোগ দখলীয় জায়গায় ঘর নির্মান করতে যায়। খবর পেয়ে জাফর আলমের স্ত্রী ও তার মেয়ে অন্তঃসত্তা রিমা আকতার কাউছারকে বাঁধা দেয়। এসময় জবর দখলকারী কাউছার দারালো দা দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে লাথি কিল ঘুঁষি মেরে সন্তান সম্ভাবা রিমা ও তার মা নাছিমা বেগম, চাচি জাহেরা বেগমসহ আরো ২জনকে আঘাত করে। জবর দখল ও হামলা মারপিটে কাউছারকে সহযোগিতা করেন তারই সৎ মা ফাতেমা বেগম। আহতরা সবাই লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত জাহেরা বেগমের অবস্থা অনেকটা সূচনীয়, তবে শঙ্কামুক্ত বলে জানাযায়। ৬ জানুয়ারি সোমবার স্থানীয় সাংবাদিকরা সরেজমিন গেলে, গ্রাম সর্দার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন প্রকাশ বেচু মাজি ও প্রতিবেশি জসিম জানান, জবর দখলকারী কাউছারগং মৃত আব্দর ব ফকিরের সন্তানদের জায়গায় ঘর নির্মান করতে যায়। তাদেরকে এই অন্যায় থেকে বিরত থাকার জন্য কথা বলা হলেও তারা কোনো কথা শুনে নাই। এর পর জায়গার ওয়ারিশরা বাঁধা দিতে গেলে তাদের উপরও নির্মম হামলা চালায়। হামলাকারী কাউছার সাংবাদিকদের উপস্থিত টের পেয়ে সরে যায়। তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম জানান, 'আমরা ফাতেমা বেগম থেকে জায়গা কিনে সেখানে ঘর নির্মাণ করতে ৬ জন পুরুষ ও তিনজন মহিলা যাই। ওই সময় জাফর আৱমের স্ত্রী ও ভাবি বাঁধা দেয়। এতে বাক বিতন্ডা ও মারামারি হয়'।
এ বিষয়ে আহত রিমা আক্তার বাদী হয়ে লামা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত করা হয়, ১। মোঃ তারেক (২৮), পিতা- মৃত বাবুল, ২। মোঃ কাউছার (৫৫), পিতা- মৃত দেলোয়ার হোসেন, ৩। আব্দুর রহিম (৪০), পিতা- কোরবান আলী, ৪। আকরাম আলী (৬৫), পিতা- নুর জামাল, ৫। মরিয়ম বেগম (৪০), স্বামী- মোঃ কাউছার, ৬। আছমা বেগম (২০), স্বামী- মোঃ তারেক, সর্ব সাং- দরদরী মাষ্টার পাড়া, ০২নং ওয়ার্ড, ০৬নং রূপসী পাড়া ইউপি, থানা- লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী এ এস আই ইমরান এর সাথে আলাপকালে সে জানান, ঘর বানাতে বাঁধা দিলে সেখানে হাতাহাতি হয়। দু'পক্ষ আপোষের উদ্দ্যােগ নিয়েছে, আপোষ না হলে কোর্টে পাঠিয়ে দিব।