চকরিয়ায় যুবদলের নেতা সন্ত্রাসী হামলার শিকার….
পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও আগামী যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী আবু মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার( ২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৫: ৫০ মিনিটের সময় পূর্ব বড় ভেওলা হাজি রওশন আলী পাড়ায় যুবদল নেতা নাছির ইফতার মাহফিলে যাওয়ার পথে হাজী রওশন আলী পাড়া স্টেশনে পৌঁছালে একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে জায়েদুল ইসলামের নেতৃত্বে আরও ৫-৮ জন লোক লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে নাছির উদ্দীনের শরীরে মারাত্মক জখম হয়। সাথে থাকা ১ লাখ ৬০ টাকা হাতিয়ে নেন সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী উন্নত চিকিৎসার জন্য চকরিয়া কর্মরত চিকিৎসা চট্টগ্রাম মেডিকেলে হস্তান্তর করেন।
নাছির উদ্দীন জানান, আমি দলীয় ইফতার ও দোয়া মাহফিল যাওয়ার সময় হত্যার উদ্দেশ্যে জায়েদুল ইসলাম ও তার সাথে থাকা বাহিনী হঠাৎ করে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে আমাকে লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। স্থানীয় লোকজন এসে রক্ষা না করলে তারা আমাকে হত্যা করে ফেলতো। আমাকে আঘাত করার পরও হালমাকারী বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করতেছে।
আমি মাননীয় সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি গত ১৭ বছর জায়েদুল ইসলাম আ.লীগের নেতাদের আশ্রয় নিয়ে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে। পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারহানা আফরিন মুন্নার নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে তিনি মৎস্যজীবী দলের পদ ব্যবহার করে নানান অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। আমার হামলা ঘটনার সঠিক বিচার চাই এবং
হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে মাতামুহুরি তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মহিব উল্লাহ বলেন, হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত পূর্বক জড়িতদের আইনের আওতায় আনা জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।